
প্রকাশিত: Sat, Jan 13, 2024 12:55 AM
আপডেট: Wed, Jun 18, 2025 8:47 AM
[১]ইয়েমেনে হুথি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বিমান হামলা [২]যুক্তরাষ্ট্রকে সংযমের আহ্বান সৌদি আরবের
রাশিদুল ইসলাম: [৩] মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত হুথিদের হামলার জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। সূত্র: বিবিসি/সিএনএন
[৪] হুথিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে হুশিয়ার করে বলেছে, এই ‘নির্মম আগ্রাসনের’ জন্য তাদেরকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে।’
[৫] ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, রয়্যাল এয়ারফোর্সের যুদ্ধবিমানগুলো সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে “সুনির্দিষ্ট টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা” চালাতে সহায়তা করেছে। তিনি আরো বলেন, এই হামলা “সীমিত, দরকারি এবং আত্মরক্ষার নিমিত্তে যথাযথ মাত্রার পদক্ষেপ”।
[৬] জো বাইডেন বলেছেন, এই মিশনে নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং বাহরাইন সমর্থন দিয়েছে।
[৭] ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হুথিদের নিয়ন্ত্রণ লোহিত সাগরের হুদায়দাহ বন্দর, ধামার এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হুথিদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাদায় হামলার খবর পাওয়া গেছে।
[৮] হুথিরা ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা বলছে, ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে তারা মিত্র গোষ্ঠী হামাসকে সহায়তা করছে।
[৯] যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্তৃপক্ষ বলছে, যুদ্ধ জাহাজ থেকে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং মার্কিন জেট বিমান থেকে রাজধানী সানা, হুদায়দাহ এবং হুথিদের লোহিত সাগরের শক্ত ঘাঁটির বন্দরগুলোসহ মোট ১২টির বেশি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
[১০] সাইপ্রাসের আক্রোতিরি ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি আরএএফ টাইফুন জেট বিমান দুটি হুথি টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
[১১] অবাধ বাণিজ্য চলাচল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আরো পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হুশিয়ার করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
[১২] মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ড অস্টিন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, “হুথিদের সক্ষমতা ব্যাহত করতে এবং কমিয়ে আনতে” এই যৌথ সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের আওতায় হুথিদের পাইলট বিহীন উড্ডয়ন যান, চালক বিহীন জাহাজ, স্থল-হামলায় ব্যবহৃত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, উপকূলীয় রাডার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
[১৩] সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোকে হামলার ক্ষেত্রে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং “উত্তেজনা না বাড়ানোর”ও আহ্বান জানানো হয়েছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ‘গভীর উদ্বেগের’ সাথে রিয়াদ পুরো পরিস্থিতির উপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।
[১৪] সাংবাদিকদের টেলিফোনে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হুথি কমান্ডারদের পক্ষ থেকে এখনো কোন ধরণের সামরিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। “এখনো পর্যন্ত আমাদের যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য জোটভুক্ত সদস্যদের লক্ষ্য করে কোন ধরনের সরাসরি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে দেখিনি,” নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান।
[১৫] “আমরা অবশ্যই আমাদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু এখনো আমরা হুথিদের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেখিনি,” ওই কর্মকর্তা আরো বলেন।
[১৬] আত্মরক্ষার জন্যই এই হামলা? অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, কোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
[১৭] এই বিবৃতিতে হুথিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের “বড় ধরণের ঐক্যমত্য” রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং একই সাথে লোহিত সাগরে তাদের হামলা বন্ধ করতে বিদ্রোহীদের প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের আহ্বানের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।
[১৮] বিবৃতিতে বলা হয়, বহুপাক্ষিক এই হামলা “ব্যক্তিগত ও সামগ্রিক আত্মরক্ষার স্বভাবগত অধিকারের আওতায়ই” চালানো হয়েছে। “এই নির্ভুল হামলাগুলো হুথিদের সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত এবং কমানোর উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে যা তারা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথে বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক নাবিকদের জীবনের প্রতি হুমকি হিসেবে ব্যবহার করতো।”
[১৯] জোটভুক্ত দেশগুলো বলে, “আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে উত্তেজনা কমিয়ে আনা এবং লোহিত সাগরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।”
[২০] হুথিদের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজ্জি ইয়েমেনি টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ এর সাতে কথা বলেছেন। তাকে উদ্ধৃত করে ওই চ্যানেলের খবরে বলা হচ্ছে, তিনি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে এই নির্মম আগ্রাসনের জন্য কড়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
[২১] ইয়েমেনে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন উপ রাষ্ট্রদূত নাবিল খুরি বলেছেন, ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে ‘মারাত্মক ভুল’ করেছে ওয়াশিংটন। তিনি এ হামলাকে ‘মার্কিন কূটনীতির ব্যর্থতা’ বলেও অভিহিত করেছেন।
[২২] খুরি আল-জাজিরাকে বলেন, ইয়েমেনের হুথি অবস্থানগুলোতে আমেরিকা ও ব্রিটেন বোমাবর্ষণ করার ফলে বাইডেন প্রশাসন কার্যকরভাবে ‘সরাসরি গাজা যুদ্ধে’ জড়িয়ে পড়ল। আমেরিকা ও ব্রিটেন ভেবেছে হামলা চালিয়ে হুথিদের দমিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু আমার মতে, এখান থেকে বড় আকারের যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আরও সংবাদ
[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের
[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক
[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস
[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
[১] বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: ভারত

[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের

[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক

[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল

[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস

[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
